বৃহস্পতিবার, ০১ মে ২০২৫, ০৬:১৫ অপরাহ্ন
ওসমানীনগর প্রতিনিধি: বিগত ১৭ বছরের শাসনামলে দেশের শিক্ষা-সংস্কৃতির সবকিছুকেই শুধু শেখ মুজিব পরিবারকেন্দ্রিক করেছিল হাসিনা সরকার। দেশের সকল পাঠ্যপুস্তকে ইতিহাস বিকৃত করে শুধু নিজের বাবা-ভাইয়ের গল্প তুলে ধরেছিলেন পলাতক সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু গেল জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে স্বৈরাচার হাসিনার সরকারের পতন হলেও দেশের সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন অফিস-আদালতে বসানো তাদের দোসরদের দলীয় নানা বিতর্কিত কর্মকাণ্ড ও স্বৈরাচারী মনোভাব পরিলক্ষিত হয়। তেমনি এক দোসরের নাম মনিরুল ইসলাম, তিনি ওসমানীনগর উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা।
শুক্রবার ২১ (ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১১টায় ওসমানীনগর উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাহনাজ পারভীনের সভাপতিত্বে মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ২০২৫ উপলক্ষে পরিষদের সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে বিভিন্ন দফতরের কর্মকর্তা, শিক্ষক, সাংবাদিক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন।
এক পর্যায়ে উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম তার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে ভাষা আন্দোলনের শহিদদের চেয়ে অত্যন্ত সু-কৌশলে শেখ মুজিবুর রহমানের বন্দনায় প্রশংসা ও অবদানের কথা উল্লেখ করেন। মনিরুল ইসলাম বলেন, বাঙালি তার মাতৃভাষা রক্ষা করতে গিয়ে সেই ১৯৪৮ সাল থেকে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে প্রথম প্রতিবাদ শুরু করেছিল। পরবর্তীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনে পূর্ণতা আনতে জাতির জনক পাকিস্তানি শাসকদের বিরুদ্ধে দুর্বার প্রতিরোধ গড়ে তোলেন।
জাতির জনকের বলিষ্ঠ প্রতিবাদে ১৯৫২ সালে পাকিস্তানিদের জারি করা ১৪৪ ধারা ভঙ্গ এবং বাংলা ভাষা প্রতিষ্ঠায় জাতির জনকের অবদান অনস্বীকার্য উল্লেখ করে মনিরুল ইসলাম বলেন, “আমরা সেই জাতি, যারা পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে আমাদের ভাষার অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে জানি।
যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মনিরুল ইসলামের বক্তব্যের সময় কেউ প্রতিবাদ না করলেও সভাশেষে পরবর্তীতে যুব উন্নয়ন কর্মকর্তার স্বৈরাচার প্রতিষ্ঠার যে কৌশলী ভূমিকা পালন করেছেন, তা নিয়ে জনমনে আওয়ামী ফ্যাসিজমের পরিচয় ফুটে উঠেছে। এরপর থেকে তার সরকারি ও ব্যক্তিগত মুঠোফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাহনাজ পারভীনের সরকারি মুঠোফোনে কল দিলে তিনি কল রিসিভ করেননি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জয়নাল আবেদীন বলেন, আসলে এ ঘটনা সম্পর্কে আমার মোটেই জানা নেই, আমি পারিবারিক কারণে উপজেলার বাইরে আছি।